সু-স্বাস্থ্যের নিশ্চয়তায় বাদাম




আমাদের দেশে অত্যন্ত পরিচিত একটি ফল এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হচ্ছে বাদাম। খুব কম মানুষই আছেন যারা বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জানেন। প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিনের মতো আরো অনেক পুষ্টিগুণ বাদামে বিদ্যমান যা বিভিন্ন রকমের রোগ থেকে শরীরকে দূরে রাখে। আমাদের দেশে সাধারনত চিনাবাদাম বেশি প্রচলিত হলেও আরো বিভন্ন ধরণের বাদাম যেমন- আখরোট, পেস্তা বাদাম, কাঠ বাদাম (আমন্ড) এবং কাজু বাদাম পাওয়া যায়, যাতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ খাদ্য শক্তি।
পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক বিবেচনা করলে বাদামের কোনও বিকল্প হয় না। এতে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, ফাইবার, সেলেনিয়াম,ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা নানা ভাবে শরীরকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে।
কেন বাদাম খাবেন জেনে নিনঃ
১. হার্ট ভাল রাখতে বাদাম গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। বাদামে থাকা ওমেগা-৩ হার্ট ভালো রাখে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
২. বাদামে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং আয়রন আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দৈহিক গঠন সুন্দর করতে সাহায্য করে।
৩. বাদাম হাড় শক্ত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে থাকে।
৪. বাদাম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং চিন্তা শক্তি বৃদ্বি করে থাকে।
৫. গর্ভবতী নারীদের জন্য বাদাম অনেক উপকারী। এটি হবু মা এবং গর্ভের সন্তান উভয়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরাত্বপূর্ণ।
৬. বাদামের ভিটামিন আমাদের ত্বক মসৃণ করে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। চোখের নিচের কালোদাগ দূর করতেও এর ভূমিকা আছে।
৭. বাদাম খেলে কিডনি ও লিভার ভালো রাখে।
৮. এটি শ্বাসকষ্ট ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
৯. বাদামের ফাইবার ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১০. বাদাম খেলে কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।
১১. উচ্চ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে বাদাম অনেক কার্যকরী।
সতর্কতাঃ যাদের হজমে সমস্যা আছে তারা অবশ্যই হজম ক্ষমতা বুঝে বাদাম খাবেন। যে বাদাম খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা অ্যালার্জির সমস্যা হয় সেই বাদাম এড়িয়ে চলা উচিত।

