যেভাবে চিনবেন উৎকৃষ্ট মানের সুস্বাদু ইলিশ


ভাপা ইলিশ, সর্ষে ইলিশ, ইলিশ পাতুরি, ইলিশ পোলাও, ইলিশ ভাজা বা ইলিশের মালাইকারী-ভোজনরসিক বাঙালির কাছে এ মাছ মানেই ‘ভজ্য রুপো’, সাধের রুপালি শস্য! কিন্তু ইলিশ এখনও ১২০০-১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোচ্ছে না বেশিরভাগ আমজনতার।
আবার কেউ কিনলেও সঠিকটা পাচ্ছেন না। কারণ তারা আসল ইলিশ চিনতে পারছেন না। ফলে বাজারে গিয়ে নিয়মিত ঠকছেন। তো কী করে চিনবেন কোনটা উৎকৃষ্ট মানের সুস্বাদু ইলিশ। বৈশিষ্ট্যে কি তেমন কোনও ফারাক আছে? জেনে নিন যা বলছেন মাছ ব্যবসায়ী আর বিশেষজ্ঞরা…
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ বিষয়ক প্রধান গবেষক কর্মকর্তা ড. আনিসুর রহমান জানান, এ মাছ সারাবছর সাগরে থাকে। শুধু ডিম ছাড়ার সময় নদীতে আসে। নদীর ইলিশ একটু গোলগাল হবে। আর সাগরের ইলিশ হবে সরু ও লম্বা। নদীর বিশেষ করে পদ্মা, মেঘনার ইলিশ একটু বেশি উজ্জ্বল। নদীর ইলিশ চকচকে বেশি হয়, বেশি রুপালি ধরনের। সাগরের ইলিশ তুলনামূলক কম উজ্জ্বল।
তিনি জানান, এছাড়া পদ্মা, মেঘনা অববাহিকার ইলিশ মাছের আকার অনেকটা পটলের মতো। অর্থাৎ মাছের মাথা আর লেজ সরু আর পেট মোটা, গোলাকার দেখতে হয়।
এ মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, ইলিশ আকারে যত বড় হবে, তত স্বাদ বাড়ে। সমুদ্রের নোনা পানি এবং নদীর মিঠা পানিতে বসবাসের কারণে এ মাছের স্বাদে কিছুটা পার্থক্য হয়। সেক্ষেত্রে নদীর ইলিশের স্বাদই বেশি হয়। তবে ডিম ছাড়ার আগ পর্যন্ত মাছটির স্বাদ সবচেয়ে বেশি থাকে।
পুষ্টিগুণ:
প্রচুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ প্রতি ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে রয়েছে ২১.৮ গ্রাম প্রোটিন, ২৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩.৩৯ গ্রাম শর্করা, ২.২ গ্রাম খনিজ ও ১৯.৪ গ্রাম চর্বি। এ ছাড়া বিভিন্ন খনিজ, খনিজ লবণ, আয়োডিন ও লিপিড রয়েছে। বিভিন্ন প্রাণীর প্রতি ১০০ গ্রাম মাংসে খাদ্যশক্তির উপস্থিতির তুলনায় ইলিশ মাছে রয়েছে সবচেয়ে বেশি খাদ্যশক্তি।
রেসিপিঃ ইলিশ ভুনা
আমাদের সবার কাছেই ইলিশ ভুনা খুবই পছন্দের। ইলিশ ভুনা তৈরীর জন্য…..
উপকরণঃ
ইলিশ মাছ –৪ পিস্
আদা বাটা- ১ চা চামচ
রসুন বাটা – ১ চা চামচ
পেয়াজ বাটা – ২ চা চামচ
হলুদ গুরা – ১ চা চামচ
মরিচ গুরা- ১ চা চামচ
লবন- সাদ মতন
মরিচ – ৭/৮ টি ফালি করা
পেয়াজ কুচি – ১ কাপ পরিমান
সয়াবিন ও সরিষার তেল – পরিমান মত
উস্টার সস – ১ চা চামচ
ফিস সস -১ চামচ
প্রেসার কুকার – অব্যশই
প্রনালীঃ
১. ইলিশ মাছ কেটে ধুয়ে টুকরা করে পেয়াজ কুচি, পেয়াজ বাটা ও রসুন বাটা বাদে সব মসলা দিয়ে মাখিয়ে রেখে দিতে হবে।
২. এরপর প্রেসার কুকারে তেল দিয়ে পেয়াজ কুচি দিয়ে ১ থেকে ২ মিনিট নাড়াচরা করে তাতে পেয়াজ বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে আরো ২-৩ মিনিট কষাতে হবে এবার মাছগুলো একটি একটি করে বসিয়ে দিতে হবে, এবং মসলা গুলো উপরে ছরিয়ে দিতে হবে।
৩. পেসার কুকার হালকা ঝাঁকিয়ে নেড়ে দিতে হবে। ১ মিনিট পর খুব সাবধানে আস্তে করে মাছ গুলো উল্টিয়ে দিয়ে ২-৩ মিনিট কষিয়ে নিতে হবে।
৪.এরপর খুব অল্প পরিমানে পানি দিতে হবে, এরপর প্রেসার কুকার এর ডাকনা বন্ধ করে একদম ম্রদু আগুনে ১ ঘন্টা জাল দিতে হবে, মাঝে চাইলে একবার দেখতে পারেন,কতোটুকু হল,যদি দেখেন নরম হয়ে কাটা বোঝা যাচ্ছে না…তাহলে আর অল্প কিছুখন জাল দিয়ে ঝোল তা মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন মজাদার তুলতুলে ইলিশ ।
৫. পরিবেশন করুন সাদা ভাতের সাথে।