বিষযুক্ত শুঁটকি নাকি অর্গানিক শুঁটকি?


বিষযুক্ত শুঁটকি নাকি অর্গানিক শুঁটকি?
বাংলাদেশের রসনা বিলাসে শুঁটাকি অত্যন্ত জনপ্রিয় খাদ্য। বর্তমানে বাজারে প্রচলিত যে সকল শুঁটকি পাওয়া যায় তা লবণ-কীটনাশক, ফরমালিন ও কেমিক্যালযুক্ত যা স্বাস্থের জন্য মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। তাই আপনাদের সু-স্বাস্থের কথা মাথায় রেখে খালেছ শপ নিয়ে আসতে যাচ্ছে সম্পূর্ন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরীকৃত লবন-কীটনাশক, ফরমালিন ও কেমিক্যালমুক্ত অর্গানিক খালেছ শুঁটকি। অর্গানিক শুঁটকির পুষ্টিগুন অনেক।
প্রতি ১০০ গ্রাম শুঁটকিতে পুষ্টিগুণ:
ছুরি শুঁটকি: ৭০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৭৬ দশমিক ১ গ্রাম প্রোটিন, ৭৩৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৪ দশমিক ২ মিলিগ্রাম লৌহ, ৩৮৩ ক্যালরি।
লইট্টা মাছের শুঁটকি: ২৪০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৬১ দশমিক ৭ গ্রাম প্রোটিন, ১৭৮১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২০ মিলিগ্রাম লৌহ ও ২৯৫ ক্যালরি।
ছোট চিংড়ির শুঁটকি: ৩৫৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৬২ দশমিক ৪ গ্রাম প্রোটিন, ৩৫৩৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২৮ গ্রাম লৌহ ও ২৯২ ক্যালরি।
টেংরা মাছের শুঁটকি: ৪০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৫৪ দশমিক ৯ গ্রাম প্রোটিন, ৮৪৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৫ মিলিগ্রাম লৌহ ও ২৫৫ ক্যালরি।
ফাইস্যা মাছের শুঁটকি: ৪৭৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১১ গ্রাম প্রোটিন, ১১৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৮ মিলিগ্রাম লৌহ ও ৩৩৬ ক্যালরি।
আমাদের সংগ্রহকৃত শুঁটকি সমূহ বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত দক্ষ কর্মী দ্বারা কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উৎপাদিত হচ্ছে সামুদ্রিক লইট্টা, ছুরি, সুরমা, রূপচান্দা, কালিচান্দা, ফইল্লা, চিংড়ি ও ফাইস্যা মাছের শুঁটকি।
সাধারণ উপায়ে তৈরী শুটকী শুকানো হয় নাড়ি-ভুড়িসহ। নাড়ি-ভুড়ি না ফেলার কারণে মাছের পেটের ভেতরে বিষাক্ত পিত্তটি থেকে যায়। যেটি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। কিন্তু আমাদের সংগ্রহকৃত অর্গানিক শুটকী উৎপাদনে নাড়ি-ভুড়ি,লেজ,মাথাসহ খাওয়ার অনুপযোগী সবকিছু ফেলে তার পর শুনানো হয়। এই প্রসেসিং করার ফলে অর্গানিক শুঁটকি খাওয়া হয় সম্পূর্ণ নিরাপদ।
শুঁটকি মাছের উপকারিতা
শুটকি মাছে রয়েছে উচ্চমাত্রার আমিষ বা প্রোটিন ,কোলেস্টেরল ও শক্তি। যারা অধিক পরিমানে পরিশ্রম করে তাদের এই মাছ খাওয়া অনেক উপকার। শরীরের অধিক শক্তি যোগাতে শুটকি মাছের তুলনা হয়না। নিয়মিত এই মাছ খেলে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর, যক্ষ্মা এই অসুখগুলো সহজে হয় না। এছাড়া এই মাছে আয়রন আছে। ফলে আয়রনের গাঠতি পূরণে এই মাছের তুলনা হয়না। গর্ভবতী মায়েরা সম্ভব হলে শুটকি মাছ বেশি খেতে পারেন। কারন এতে আয়রন,সোডিয়াম ও অন্যান্য উপাদান রয়েছে। তাছাড়া আয়রন, আয়োডিনের মাত্রা বেশি থাকার জন্য দেহে রক্ত বাড়ায়, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে শক্তিশালী।এবং শরীরের হরমোনজনিত সমস্যা দূর করে।
সতর্কতা
* শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের সময় প্রচুর লবণ দেওয়া হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগীদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
* বাত ও কিডনির রোগীদের বেশি শুঁটকি খাওয়া উচিত নয়।
* যাঁদের কিডনিতে ক্যালসিয়াম পাথর হওয়ার ঝুঁকি আছে, তাঁরাও শুঁটকি এড়িয়ে চলবেন।
* ইদানীং শুঁটকি সংরক্ষণে ক্ষতিকর কীটনাশক ডিডিটি-জাতীয় উপাদান দেওয়া হয়। তাই রান্নার আগে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে বারবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন।
* বাড়িতে শুঁটকি সংরক্ষণ করতে হলে মাঝে মাঝে কড়া রোদে দেবেন।
Khalesshop এর শুঁটকি কেন খাবেন-
Khalesshop গ্রাম-বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাওর-বাওর, নদী-নালা, খাল-বিল ইত্যাদি থেকে দেশি মাছ সংগ্রহ করে নিজস্ব ত্বত্তাবধানে কোন ধরণের কেমিক্যাল ও প্রিজারভেটিব ছাড়া দক্ষকর্মী দ্বারা সর্বোত্তম উপায়ে অর্গানিক শুঁটকির প্রসেস করা হয়।
Khalesshop কক্সবাজারের অর্গানিক শুঁটকি তৈরীর কারখানা হতে কেমিক্যালমুক্ত সামদ্রিক মাছের শুঁটকি সংগ্রহ করে গ্রাহকের নিকট পৌছিয়ে থাকে।
Khalesshop মাছ সংগ্রহ থেকে শুরু করে গ্রাহকদের নিকট পৌঁছা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে শুঁটকির গুণগত মান ঠিক রাখা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শতভাগ বিশুদ্ধতাকে নিশ্চিত করে।
Khalesshop গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য সর্বদা সচেষ্ট। তাই Khalesshop এর বিশুদ্ধ পণ্য গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ থাকুন এবং সবর্দা khalesshop এর সাথেই থাকুন।
আমাদের সকল আপটেড পেতে আমাদের website, facebook page, twitter, instagram ও Youtube পেজে এ লাইক ও কমেন্ট করুন।